স্ট্যালিনগ্রান্ডের যুদ্ধ স্মরণীয় কেন | রুশ জার্মান আক্রমণ চুক্তি | আন্তর্জাতিকতাবাদ কী | অপারেশন বারবারোসা কী | মার্শাল পরিকল্পনা কী | ইতালি কেন আবিসিনিয়া দখল করে



প্রিয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা,



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর ষষ্ঠ ৬ষ্ঠ অধ্যায় থেকে বহুবিকল্প-ভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) | তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে নবম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ ৬ষ্ঠ  অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা আছে । আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরীক্ষায় খুবই কাজে আসবে।




স্ট্যালিনগ্রান্ডের যুদ্ধ স্মরণীয় কেন | রুশ জার্মান আক্রমণ চুক্তি | আন্তর্জাতিকতাবাদ কী | অপারেশন বারবারোসা কী | মার্শাল পরিকল্পনা কী | ইতালি কেন আবিসিনিয়া দখল করে




ক্লাস -৯ ইতিহাস
২ নন্বর এর প্রশ্ন
৬- অধ্যায়


Part 2


১১. স্ট্যালিনগ্রান্ডের যুদ্ধ স্মরণীয় কেন ?

১৭ জুলাই ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে এবং ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে এই যুদ্ধটি স্মরণীয় ছিল । এই যুদ্ধের সেনাপতি রুশ মার্শাল ঝুকভ স্ট্যালিনগ্রান্ডের যুদ্ধে জার্মান সেনাদল কে পর্যুদস্ত করে । স্ট্যালিনগ্রান্ডের যুদ্ধ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দীর্ঘস্থায়ী। এবং বাধ্য হয়ে জার্মান সেনাপতি ভন পাউলাস সেনাপতি মার্শাল ঝুকভ এর কাছে আত্মসমর্পন করেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরে যায়।


১২. রুশ জার্মান আক্রমণ চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়? এবং এই যুক্তির শর্তগুলি কি ছিল ?

১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ২৩ আগস্ট রুশ জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এই চুক্তির শর্তগুলি নিম্নে আলোচিত হলো—
  • আক্রমণ : আগামী ১০ বছর কেউ কাউকে আক্রমণ করবে না।
  • বিবাদ নিষ্পত্তি : উভয় রাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের বিবাদ মিটিয়ে নেবে ।


১৩. করফু দ্বীপের ঘটনাটি কী?

১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে গ্রিস ও আলবেনিয়ান মধ্য সীমানা নির্ধারণের কাজে নিযুক্ত কয়েকজন ইতালি প্রতিনিধি নিহত হয় । এই ঘটনার জন্য ইতালির শাসক মুসোলিনি গ্রিসকে দায়ী করে তার কাছ থেকে করফু দ্বিপটি দখল করে নেয় । কিন্তু পরবর্তীকালে প্রচুর ক্ষতিপূরণ দিয়ে জাতিপুঞ্জের মধ্যস্থায় ওই দ্বীপটি গ্রিসকে ফিরিয়ে দেয়। এই ঘটনা করফু ঘটনা নামে পরিচিত।


১৪. হিটলার কেনো চেকোশ্লোভিয়াকে দখল করতে চেয়েছিলেন ?

দেখা যায় ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে চেকোশ্লোভিয়া কে হিটলার দখল করতে চেয়েছিলেন। সেই কারণগুলি নিচে আলোচিত হলো–
  • সাম্রাজ্য বিস্তার: পূর্ব ইউরোপে সাম্রাজ্য বিস্তার খুবই জরুরী ছিল।
  • সুদেতান দখল : চেকোশ্লোভিয়ার সুদেতান অঞ্চল ছিল জার্মান অধ্যুষিত।


১৫. আন্তর্জাতিকতাবাদ কী?

এক ধরনের রাজনৈতিক আদর্শ হল আন্তর্জাতিকতাবাদ । জাতির স্বার্থের পাশাপাশি বৃহত্তর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বস্বার্থ বা আন্তর্জাতিক স্বার্থ রক্ষার ওপরের গুরুত্ব দেওয়া হয় । যে মানসিকতার মাধ্যমে বিশ্বের নানা দেশ ও জাতির বন্দি অতিক্রম করে বিশ্ব মানবতার সঙ্গে একাত্ম হতে পারে সেই মানসিকতাকে আন্তর্জাতিকতাবাদ বলে।


১৬. প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বের সঙ্গে তৃতীয় বিশ্বের পার্থক্য কোথায় ?

প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বের দেশগুলির সঙ্গে তৃতীয় বিশ্বের পার্থক্য আছে। এই পার্থক্য গুলি হল—
  • তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি অধিকাংশই প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্বাধীনতা লাভ করেছে । 
  • প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বের দেশগুলি অধিকাংশ সাম্রাজ্যবাদী কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী । 
  • তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি অর্থনৈতিক দিক থেকে অনগ্রসর ও উন্নয়নশীল ছিল ।


১৭. অপারেশন বারবারোসা বলতে কী বোঝো ?

হিটলারের সোভিয়েত রাশিয়া অভিযানের সংকেতিক নাম ছিল অপারেশন বারবারোসা। এই অভিযানের উদ্দেশ্য গুলি হল— 
  • ১. পশ্চিম সোভিয়েত রাশিয়া দখল করে সেখানে জার্মানদের বসবাসের জায়গার ব্যবস্থা করা । 
  • ২. রাশিয়ার এই অঞ্চলে জার্মানি যুদ্ধ প্রচেষ্টায় তাদের শ্রম কে কাজে লাগানো । ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে এই অভিযান এবং শুরু হয় ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ৫ ডিসেম্বর এই অভিযান শেষ হয়।


১৮. মার্শাল পরিকল্পনা কী?

বিদেশমন্ত্রীর জর্জ সি মার্শাল হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বক্তৃতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপে আর্থিক পুনর্রুজ্জীবনের লক্ষ্য এক পরিকল্পনা পেশ করেন, সেই পরিকল্পনাই মার্শাল পরিকল্পনা নামে পরিচিত। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য গুলি হল —
  • ১. সাম্যবাদের প্রসার রোধ । 
  •  ২. মার্কিন অনুগত রাষ্ট্রজোট গঠন ও ইউরোপীয় দেশগুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন।


১৯. ভিচি সরকার কী?

১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে ২১নভেম্বর ফরাসিরা জার্মান প্রতিনিধিদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে ফ্রান্সের হাপ অংশ জার্মানির দখলে চলে যায় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথমে মার্শাল পেতার নেতৃত্বে জার্মানি রাজধানী ভিচি শহরে তাদের একটি তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠা করে । এই সরকার ভিচি সরকার নামে পরিচিত ।


২০. ইতালি কেন আবিসিনিয়া দখল করে ?

ইতালির রাষ্ট্রপ্রধান মুসোলিনি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দেতে আবিসিনিয়ার আক্রমণ করেন । এই কারণগুলি আলোচনা করা হলো—
  • ইতালির ক্রোমবর্ধমান জনগণের বসবাসের ব্যবস্থা করা।
  • পূর্ব আফ্রিকায় ইতালির সাম্রাজ্য বিস্তার করা ইত্যাদি ।



ষষ্ঠ অধ্যায় : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর



নবম শ্রেণির ইতিহাস

  • ১ম অধ্যায়
  • ২য় অধ্যায়
  • ৩য় অধ্যায়
  • ৪র্থ অধ্যায়
  • ৫ম অধ্যায়
  • ৬ষ্ঠ অধ্যায়
  • ৭ম অধ্যায়
  • ৮ম অধ্যায়


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url