রোম-বার্লিন -টোকিও জোট কী | পোটসডাম সম্মেলন কী | তোষণ নীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য কতটা দায়ী | আশ্চর্যজনক নিষ্কৃতি কী | তৃতীয় বিশ্ব কী | দ্বি-মেরু বিশ্ব কী
প্রিয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা,
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর ষষ্ঠ ৬ষ্ঠ অধ্যায় থেকে বহুবিকল্প-ভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) | তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে নবম শ্রেণির ইতিহাস ৫ম অধ্যায় বিংশ শতকে ইউরোপ থেকে ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা আছে । আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরীক্ষায় খুবই কাজে আসবে।
রোম-বার্লিন -টোকিও জোট কী | পোটসডাম সম্মেলন কী | তোষণ নীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য কতটা দায়ী | আশ্চর্যজনক নিষ্কৃতি কী | তৃতীয় বিশ্ব কী | দ্বি-মেরু বিশ্ব কী
৩১. অভিমুখের বিচারে উগ্র জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদ এর পার্থক্য লেখ ?
উগ্র জাতীয়তাবাদের ও আন্তর্জাতিকতাবাদ এর পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। সেগুলি হল –১. উগ্র জাতীয়তাবাদের স্বদেশ ও স্বজনের গুরুত্বই বেশি। অপরদিকে আন্তর্জাতিকতাবাদের স্বদেশ ও স্বজনের পাশাপাশি বিশ্ব ও বিশ্ব মানবের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২. উগ্র জাতীয়তাবাদের জাতিগত সংঘর্ষ সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে আন্তর্জাতিকতাবাদী জাতিসংঘ সংঘাত নয় সহাবস্থানের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় ।
৩২. রোম-বার্লিন -টোকিও জোট কী?
ইতালি, জার্মান ও জাপানের মধ্য রোম- বার্লিন -টোকিও অক্ষচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত হয়। এই জোট গুলির উদ্দেশ্য ছিল—
- ১. কোনো অবস্থাতেই এই জোট সদস্যরা সাম্যবাদী রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাবে না।
- এই জোট কোন চতুর্থ শক্তি দ্বারা আক্রান্ত হলে একে অন্যকে সাহায্য করবপ।
- ১০ বছর এই চুক্তি স্থায়িত্ব পাবে ।
৩৩. পোটসডাম সম্মেলন কী?
১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি আত্ম সমর্পণের পর বার্লিন এর কাছে পোটসডাম শহরে রাশিয়ার স্ট্যালিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হ্যারি ট্রুম্যান ব্রিটেনের ক্লিমেন্ট এটলি প্রমুখ রাষ্ট্রপ্রধান যে সম্মেলনে বসেন তা পোটসডাম সম্মেলন নামে পরিচিত । এই সম্মেলনে যে সিদ্ধান্তগুলি গৃহীত হয় তা হল–
- ১. জার্মানি থেকে নাৎসি প্রভাব দূর করা হবে।
- ২. জার্মানিকে সামরিক দিক থেকে নিরস্ত করা হবে প্রভুতি।
৩৪. দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধকালে যুদ্ধের দুটি কৌশলগত পরিবর্তন লেখ ?
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধকালে যুদ্ধের কৌশলগত পরিবর্তন বলতে বোঝার যুদ্ধশাস্ত্রের কার্যকারিতা বা তার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ছিল—
- প্রথমত, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজে লাগিয়ে ডুবোজাহাজ বিরোধী অভিযান ।
- দ্বিতীয়ত, যুদ্ধের পারমানবিক বোমার ব্যবহার ।
৩৫. তোষণ নীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য কতটা দায়ী ?
এই তোষণ নীতি ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে সংগঠিত হয়েছিল। এই নীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য অনেকটাই দায়ী ছিল । এর কারণগুলি হল–
- ১. এই নীতির ফলে হিটলার ও মুসোলিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এবং জাতিসংঘের যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।
- ২. তোষণ নীতির ফলে হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করে দখলের পরিকল্পনা করে ।
৩৬. আশ্চর্যজনক নিষ্কৃতি কী?
হিটলারের ফ্রান্স আক্রমণের সময় ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে হিটলার তার মিত্র বাহিনীর ৩ লক্ষাদিক সেনা ফ্রান্সের দানকার বন্দরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে । জার্মান বোমারু বিমান ও কামানের আক্রমণ উপেক্ষা করে প্রবাল ঝুঁকি নিয়ে মিত্র পক্ষের সেনাপতিরা এই বিশাল সেনাদল কে জাহাজে যোগে ইংলিশ চ্যানেল পার করে ইংল্যান্ডে নিয়ে আসে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল এই ঘটনাকে আশ্চর্যজনক নিষ্কৃতি বলে অভিহিত করেছেন ।
৩৭. পোল-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি কত খ্রিস্টাব্দে কত বছরের জন্য স্বাক্ষরিত হয়? এই চুক্তির গুরুত্ব কি ছিল ?
১০ বছরের জন্য ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে পোল- জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এই চুক্তির বিশেষ কয়েকটি গুরুত্ব ছিল সেগুলি হল—
- ১. পোল্যান্ড সম্ভাব্য জার্মান অাক্রমণের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাই এবং
- ২. ফ্রান্সের সঙ্গে পোল্যান্ডের জার্মান বিরোধী জোট ভেঙ্গে যায় ।
৩৮. তৃতীয় বিশ্ব কী?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ হওয়ার পর ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট, সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী রাষ্ট্র জোট, লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অনুন্নত অনগ্রসর ও আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া দেশগুলি তৃতীয় বিশ্ব নামে পরিচিত । এই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল প্রভৃতি।
৩৯. মার্শাল ঝুকভ কে ছিলেন ?
সোভিয়েত রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জেনারেল ছিলেন গ্রেগরি ঝুকভ যিনি মার্শাল ঝুকভ নামেও পরিচিত । এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে সংঘটিত হয়েছিল । রাশিয়ার লালফৌজ বাহিনী স্ট্যালিনগ্রান্ডে জার্মানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা করে তুলে সাফল্য লাভ করে । আবার জার্মানিকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করার পিছনেও তার অবদান ছিল ।
৪০. দ্বি-মেরু বিশ্ব কী?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সমগ্র বিশ্ব আদর্শগত ভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। অপরদিকে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমী ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র জোট এবং অন্যদিকে ছিল সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী রাষ্ট্রজোট। সমগ্র বিশ্বের এভাবে বিভক্তিকরন দ্বি-মেরু বিশ্ব নামে পরিচিত ।
ষষ্ঠ অধ্যায় : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ১]
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ২]
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ৩]
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ৪]
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ৫]
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ৬]
নবম শ্রেণির ইতিহাস
- ১ম অধ্যায়
- ২য় অধ্যায়
- ৩য় অধ্যায়
- ৪র্থ অধ্যায়
- ৫ম অধ্যায়
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়
- ৭ম অধ্যায়
- ৮ম অধ্যায়