ফিলিপ পেতা কে | ইঙ্গ-ফরাসি তোষণ নীতি কাকে বলে | ডি ডে বলতে কী বোঝায় | জোট নিরপেক্ষ নীতি কী | লিটল বয় ও ফ্যাট ম্যান কী | কমিন্টার্ন কী
প্রিয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা,
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর ষষ্ঠ ৬ষ্ঠ অধ্যায় থেকে বহুবিকল্প-ভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) | তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে নবম শ্রেণির ইতিহাস ৫ম অধ্যায় বিংশ শতকে ইউরোপ থেকে ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা আছে । আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরীক্ষায় খুবই কাজে আসবে।
৫৮. জার্মানি কেন জাতিসংঘের সদস্য পদ ত্যাগ করে?
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব নিরস্ত্রীকরন সম্মেলনের আহূত হয় । এই সম্মেলনে সকলেই জার্মানির সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিরোধিতা করলে এক্ষেত্রে জার্মানির প্রস্তাব ছিল যে তাকে ফ্রান্সের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়া হোক বা নতুন ফ্রান্সের সামরিক শক্তি জার্মানির সমান করা হোক। জাতিসংঘ এই প্রস্তাব না মানার কারণে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি জাতিসংঘের সদস্যপদ ত্যাগ করে।
৫৯. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিভাবে অবসান ঘটে ?
মিত্রপক্ষের সৈন্য বাহিনী আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে জার্মানির হিটলার গোয়েবলস, হিমলার প্রমুখ ১৯ নেতারা আত্মহত্যা করেন। এবং জার্মানি ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ৭ মে মিত্র শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে । অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত জাপান ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আত্মোসমর্পণ করে । এইভাবে জার্মানি ও জাপানের আত্মোসমর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ।
৬০. কমিন্টার্ন কী?
সোভিয়েত রাশিয়ার মস্কোতে যে তৃতীয় কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠিত হয়েছিল টা কমিন্টান নামে পরিচিত । ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে এটি সংঘটিত হয়েছিল । এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের বুর্জোয়া ধানতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তে বিশ্ব সাম্যবাদী ব্যবস্থা চালু করার আনন্দে গড়ে তোলা। আবার ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ১৫ ই মে এই কমিন্টান অবলুপ্ত হয় ।
৬১.সমুদ্র সিংহ অভিযান কী?
হিটলার ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইংল্যান্ডে আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২ জুন । এই অভিযানের সংকেতিক নামকরণ করেন 'সমুদ্র সিংহ অভিযান '। তবে পরে হিটলার ব্রিটিশ নৌবাহিনী প্রতিরোধের ভয়ে নৌবাহিনীর প্রতিরোধের ভয়ে এই অভিযানের পরিকল্পনা বাতিল করেন ।
৬২.কে কবে কি উদ্দেশ্য কমিনফ্রম গঠন করেন?
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর জন্য সভিয়েত রাশিয়া তার অনুগামী দেশগুলিকে নিয়ে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে সেপ্টেম্বর মাসে কমিনফ্রম গঠন করেন। এই জোটের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্য অন্যতম ছিল পোল্যান্ড, রোমানিয়া, পূর্ব জার্মানি প্রভূতি দেশ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর ষষ্ঠ ৬ষ্ঠ অধ্যায় থেকে বহুবিকল্প-ভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) | তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে নবম শ্রেণির ইতিহাস ৫ম অধ্যায় বিংশ শতকে ইউরোপ থেকে ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা আছে । আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরীক্ষায় খুবই কাজে আসবে।
ফিলিপ পেতা কে | ইঙ্গ-ফরাসি তোষণ নীতি কাকে বলে | ডি ডে বলতে কী বোঝায় | জোট নিরপেক্ষ নীতি কী | লিটল বয় ও ফ্যাট ম্যান কী | কমিন্টার্ন কী
৫১. ফিলিপ পেতা কে ছিলেন?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জার্মানির কাছে আত্মসমর্পণের পর ফ্রান্সে যে জার্মান - তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার প্রধান ছিলেন মার্শাল ফিলিপ পেতা। তার নেতৃত্বে গঠিত সরকারের নাম ছিল ভিচি সরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর তাকে ফরাসি সরকার মৃত্যুদণ্ড দেয়, এবং বয়স জনিত কারণ ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে তার কৃতিত্বের কথা মাথায় রেখে রদ করা হয় ।
৫২. তোষণ নীতি কী ? অথবা : ইঙ্গ-ফরাসি তোষণ নীতি কাকে বলে?
পূর্ব ইউরোপের সোভিয়েত রাশিয়ার প্রভাতকে আটকাতে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স, জার্মানির হিটলারের উক্ষানের প্রতি কোনরূপ বাধার সৃষ্টি না করে তার প্রতি যে আপসমূলক মনোভাব গ্রহণ করেছিলে তা তোষন নীতি নামে পরিচিত । ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলেন এবং ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড দালাদিয়ের ছিলেন এই নীতির প্রবক্তা।
৫৩. ভুতুড়ে যুদ্ধ বা Phony war কী?
১৯৩৯ এবং ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের মে মাস পর্যন্ত সময়কালের মধ্য ইঙ্গ ফরাসি মিত্রশক্তি জোট জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও প্রকৃতপক্ষে তারা কোন যুদ্ধ করেনি বলে জানা যায়। কিন্তু তারা এই সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি চালায় । এবং কোন আক্রমণের ঘটনা তারা ঘটায়নি। যে কারণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এই যুদ্ধকে 'ভুতুড়ে যুদ্ধ' বলেছেন।
৫৪. কোন ঘটনাকে গণতন্ত্রের মড়ক বলা হয়?
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জার্মানি, ইতালি, পর্তুগাল, পোল্যান্ড প্রভূতি দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার পতন ঘটে এবং একনায়কতন্ত্র একদলের শাসন ব্যবস্থার কায়েম হয়। ঐতিহাসিক জি হার্ডি এই ঘটনাকে গণতান্ত্রের মরক বলে অভিহিত করেছেন ।
৫৫. ডি ডে বলতে কী বোঝায় ?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রপক্ষ জার্মানি অধিকৃত ফ্রান্স পুনদখলে পরিকল্পনা করে । এই যুদ্ধের উদ্দেশ্যে অনুযায়ী ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুন মিত্র পক্ষের বিশাল বাহিনী ফ্রান্সের নরম্যান্ডি উপকূলের অবতরণ করে এবং জার্মান বিরোধী অভিযান শুরু করে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসে তাই এই দিনটি ডি ডে বা মুক্তি দিবস নামে পরিচিত ।
৫৬. জোট নিরপেক্ষ নীতি কী?
বিশ্বে কোনো কোনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নেতৃত্বাধীন ধনতান্ত্রিক জোট এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোটের কোনোটিতেই যোগদান না করে উভয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সম দূরত্ব বজায় রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে নিজেদের বৈদেশিক নীতি পরিচালন করেন। এবং যে বিশেষ মুক্তি জোট গঠন করেন তা জোট নিরপেক্ষ নীতি নামে পরিচিত।
৫৭.লিটল বয় ও ফ্যাট ম্যান কী?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বোমা ছিল তাদের নাম ছিল ১. লিটল বয় ২. ফ্যাট ম্যান। এই বোমা গুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে প্রচলিত ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জার্মানির কাছে আত্মসমর্পণের পর ফ্রান্সে যে জার্মান - তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার প্রধান ছিলেন মার্শাল ফিলিপ পেতা। তার নেতৃত্বে গঠিত সরকারের নাম ছিল ভিচি সরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর তাকে ফরাসি সরকার মৃত্যুদণ্ড দেয়, এবং বয়স জনিত কারণ ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে তার কৃতিত্বের কথা মাথায় রেখে রদ করা হয় ।
৫২. তোষণ নীতি কী ? অথবা : ইঙ্গ-ফরাসি তোষণ নীতি কাকে বলে?
পূর্ব ইউরোপের সোভিয়েত রাশিয়ার প্রভাতকে আটকাতে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স, জার্মানির হিটলারের উক্ষানের প্রতি কোনরূপ বাধার সৃষ্টি না করে তার প্রতি যে আপসমূলক মনোভাব গ্রহণ করেছিলে তা তোষন নীতি নামে পরিচিত । ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলেন এবং ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড দালাদিয়ের ছিলেন এই নীতির প্রবক্তা।
৫৩. ভুতুড়ে যুদ্ধ বা Phony war কী?
১৯৩৯ এবং ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের মে মাস পর্যন্ত সময়কালের মধ্য ইঙ্গ ফরাসি মিত্রশক্তি জোট জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও প্রকৃতপক্ষে তারা কোন যুদ্ধ করেনি বলে জানা যায়। কিন্তু তারা এই সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি চালায় । এবং কোন আক্রমণের ঘটনা তারা ঘটায়নি। যে কারণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এই যুদ্ধকে 'ভুতুড়ে যুদ্ধ' বলেছেন।
৫৪. কোন ঘটনাকে গণতন্ত্রের মড়ক বলা হয়?
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জার্মানি, ইতালি, পর্তুগাল, পোল্যান্ড প্রভূতি দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার পতন ঘটে এবং একনায়কতন্ত্র একদলের শাসন ব্যবস্থার কায়েম হয়। ঐতিহাসিক জি হার্ডি এই ঘটনাকে গণতান্ত্রের মরক বলে অভিহিত করেছেন ।
৫৫. ডি ডে বলতে কী বোঝায় ?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রপক্ষ জার্মানি অধিকৃত ফ্রান্স পুনদখলে পরিকল্পনা করে । এই যুদ্ধের উদ্দেশ্যে অনুযায়ী ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুন মিত্র পক্ষের বিশাল বাহিনী ফ্রান্সের নরম্যান্ডি উপকূলের অবতরণ করে এবং জার্মান বিরোধী অভিযান শুরু করে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসে তাই এই দিনটি ডি ডে বা মুক্তি দিবস নামে পরিচিত ।
৫৬. জোট নিরপেক্ষ নীতি কী?
বিশ্বে কোনো কোনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নেতৃত্বাধীন ধনতান্ত্রিক জোট এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোটের কোনোটিতেই যোগদান না করে উভয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সম দূরত্ব বজায় রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে নিজেদের বৈদেশিক নীতি পরিচালন করেন। এবং যে বিশেষ মুক্তি জোট গঠন করেন তা জোট নিরপেক্ষ নীতি নামে পরিচিত।
৫৭.লিটল বয় ও ফ্যাট ম্যান কী?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বোমা ছিল তাদের নাম ছিল ১. লিটল বয় ২. ফ্যাট ম্যান। এই বোমা গুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে প্রচলিত ছিল।
- লিটল বয়: লিটল বয় হল জাপানের হিরোশিমা শহরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪০০ কিলোগ্রাম ওজনের এবং এই পরমাণুবিক বোমা নিক্ষেপ করে ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে। এটি লিটল বয় নামে প্রচলিত ।
- ফ্যাট ম্যান : জাপানের নাগাসিকা শহরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪৬৭০ কিলোগ্রামের ফ্যাটম্যান নামক ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে এই বোমার নিক্ষেপ করে।
৫৮. জার্মানি কেন জাতিসংঘের সদস্য পদ ত্যাগ করে?
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব নিরস্ত্রীকরন সম্মেলনের আহূত হয় । এই সম্মেলনে সকলেই জার্মানির সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিরোধিতা করলে এক্ষেত্রে জার্মানির প্রস্তাব ছিল যে তাকে ফ্রান্সের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়া হোক বা নতুন ফ্রান্সের সামরিক শক্তি জার্মানির সমান করা হোক। জাতিসংঘ এই প্রস্তাব না মানার কারণে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি জাতিসংঘের সদস্যপদ ত্যাগ করে।
৫৯. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিভাবে অবসান ঘটে ?
মিত্রপক্ষের সৈন্য বাহিনী আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে জার্মানির হিটলার গোয়েবলস, হিমলার প্রমুখ ১৯ নেতারা আত্মহত্যা করেন। এবং জার্মানি ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ৭ মে মিত্র শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে । অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত জাপান ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আত্মোসমর্পণ করে । এইভাবে জার্মানি ও জাপানের আত্মোসমর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ।
৬০. কমিন্টার্ন কী?
সোভিয়েত রাশিয়ার মস্কোতে যে তৃতীয় কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠিত হয়েছিল টা কমিন্টান নামে পরিচিত । ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে এটি সংঘটিত হয়েছিল । এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের বুর্জোয়া ধানতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তে বিশ্ব সাম্যবাদী ব্যবস্থা চালু করার আনন্দে গড়ে তোলা। আবার ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ১৫ ই মে এই কমিন্টান অবলুপ্ত হয় ।
৬১.সমুদ্র সিংহ অভিযান কী?
হিটলার ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইংল্যান্ডে আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২ জুন । এই অভিযানের সংকেতিক নামকরণ করেন 'সমুদ্র সিংহ অভিযান '। তবে পরে হিটলার ব্রিটিশ নৌবাহিনী প্রতিরোধের ভয়ে নৌবাহিনীর প্রতিরোধের ভয়ে এই অভিযানের পরিকল্পনা বাতিল করেন ।
৬২.কে কবে কি উদ্দেশ্য কমিনফ্রম গঠন করেন?
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর জন্য সভিয়েত রাশিয়া তার অনুগামী দেশগুলিকে নিয়ে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে সেপ্টেম্বর মাসে কমিনফ্রম গঠন করেন। এই জোটের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্য অন্যতম ছিল পোল্যান্ড, রোমানিয়া, পূর্ব জার্মানি প্রভূতি দেশ।
ষষ্ঠ অধ্যায় : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ১]
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ২]
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ৩]
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ৪]
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ৫]
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে ২ নম্বরের সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর [পার্ট ৬]
নবম শ্রেণির ইতিহাস
- ১ম অধ্যায়
- ২য় অধ্যায়
- ৩য় অধ্যায়
- ৪র্থ অধ্যায়
- ৫ম অধ্যায়
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়
- ৭ম অধ্যায়
- ৮ম অধ্যায়